প্রধান বিচারপতি

মামলাজটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা জয়ী হবো

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৩, ০৭:৩৫ পিএম

‘আমরা রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করেছি। সবাই সেই ইতিহাস জানেন। যদি যুদ্ধ করে এ ভূখণ্ড স্বাধীন করতে পারি, তাহলে মামলাজটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন কেন হতে পারবো না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো। এ জয়টা আমরা পরিশ্রম করে অর্জন করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার জেলা জজ আদালতে প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, বিচারিক সেবা পেতে এ দেশের মানুষ হকদার, সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবেন।’

তিনি বলেন, আমি বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি, আপনারা পরিশ্রম করে এখন যেসব কেস ফাইলিং হচ্ছে, তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয়, তাহলে ৫-৬ বছরের মধ্যে মামলাজট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারবো। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদের ঘুরতে হবে না।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এ ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।’

এর আগে প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ সময় প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্টার মো. সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসান ও প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম।

আরএস