অ্যাটর্নি জেনারেল

অন্য কোনো উদ্দেশ্যেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন এমরান

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদের উচিত ছিল আমার সঙ্গে কথা বলা। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি। কালকে তিনি ছুটিতে থাকা অবস্থায় কেন ওইখানে গেলেন। যেখান থেকে মামলার বিষয়ে কথা বলা হয়। উনার তো সেখানে যাওয়ারই কথা নয়। তাহলে তিনি অন্য কোনো উদ্দেশ্যেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এ এম আমিন উদ্দিন আরও বলেন, সর্বোচ্চ আদালত দুই দফায় বলেছেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা চলতে বাধা নেই। তাহলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একজন আইনজীবী হিসেবে কীভাবে এমন কথা বলেন। তিনি তো সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে পারেন না।

এদিকে অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। এর মাধ্যমে তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এখন বিষয়টি আমি দেখব।

এর আগে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিদেশি ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। এ ছাড়া ড. ইউনূসের পক্ষে বিদেশিরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে একমত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন ব্যক্তি ড. ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন। ১০০ জনের বেশি নোবেলজয়ীর দেওয়া ওই চিঠিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে চিঠিতে বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার সংকট ছিল জানিয়ে সামনের নির্বাচনের দিকে তাদের নজর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে গত কয়েক দিনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ দেশের ৫০ জন সম্পাদক।

আরএস