ঢাকার নিম্ন আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা বারোটার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও `শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ` দাবি করা বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিন্থি আইনজীবীদের সংগঠন ইউনাইটেড ল`ইয়ার্স ফ্রন্টের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশের কোতোয়ালি জোনের এডিসি, এসি ও ওসিসহ পুলিশের সাতজন ও বিএনপিপন্থি অন্তত ২২ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা হলেন- কোতয়ালী জোনের এডিসি মোঃ মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, এসি মোঃ শাহিনুর ইসলাম, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনাব মোঃ শাহিনুর রহমান, কোতয়ালী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ নাজমুল হক, এএসআই বশির, কনস্টেবল রুহুল আমিন, আনসার সদস্য মোঃ সুমন আলী।
আহত আইনজীবীরা হলেন- মাহবুবুর রহমান খান, দেওয়ান রিপন, মোজাহিদুল ইসলাম সায়েম, কে এম মিরাজ হোসেন,
মাহফুজার রহমান ইলিয়াস, সাইদুর রহমান সোহাগ, কে এম বরকত সবুজ, মাহবুব আলম আক্তার, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, হাজী মো. মহসীন, কাজী পনির ও এস এম হুমায়ূন কবিরসহ আরও বেশ কয়েকজন।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়ক আসলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরবর্তীতে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে তারা সিএমএম আদালতে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। সেখানেও পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের পদযাত্রা শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আজকে পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচারণ করেছে। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পিটালো। তারা জঙ্গিদেরকে হার মানিয়েছে। তারা আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছেন। গায়ে হাত দিয়েছেন। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়। তিনি বলেন,আজকে আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপূর্ণ পথযাত্রা। কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাপিয়ে পড়লো।
তিনি আরো বলেন, এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো। তারপর সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবীদের উপর হামলা করেছে। বিচার হয়নি। অথচ দুইজন ছাত্রলীগের কর্মীকে মেরে রবখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুইজন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজরো মানুষের উপর হামলা করেছেন তার কোন বিচার নেই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এআরএস