বিচারপতিদের বাসভবন (জাজেস কমপ্লেক্সে) হামলার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার মামলার মধ্যে তিন মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলায় তার জামিন আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার জামিন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এছাড়াও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তিনি কারাগারে আটক রয়েছে। এ দুই মামলায় তিনি জামিন পেলে কারামুক্তিতে বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আনিসুর রহমান।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। সংঘর্ষের একপর্যায়ে রমনায় অবস্থিত বিচারপতিদের বাসভবন বা জজেস কমপ্লেক্সে ভাঙচুর করেন বিএনপি কর্মীরা। এ সময় তারা ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা, রড ইত্যাদি নিয়ে জাজেস কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন রমনা থানার এসআই মো. শহিদুল ওসমান মাসুম।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা থানার নাশকতার দুই মামলায় আলতাফ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় চারটি মামলা হয়। ৫ নভেম্বর ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব। ওইদিন তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে নাশকতা ও ভাঙচুরের এক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু আনসার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। বর্তমানে মামলাটিতে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ, ২৮ অক্টোবরের মোট চার মামলার মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের দুই মামলায় জামিন মেলেনি তার।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় বিমান বাহিনীর সাবেক এই প্রধানের ২১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় তার আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেছেন। আদালত আপিল গ্রহণ করায় এ মামলাটিতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী। আগামী ৪ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইএইচ