ঢাকা আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ফলাফল গতরাতে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে আওয়ামী সাদা প্যানেল সভাপতি -সম্পাদক সহ মোট ২১ টি পদে বিজয়ী হয়েছে।
যেখানে সভাপতি পদে বিজয়ী হন অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার। এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার সাহাদাত শাওন বিজয়ী হন।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলে ২১ হাজার ২০৮ ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ৬৯০ জন আইনজীবী ভোট প্রদান করে।
এর আগে নির্ধারিত ব্যালট পেপারের বদলে নকল স্ক্যানিং করা ব্যালট পেপার পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ।
প্রথম দিন বুধবার একইভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২১ হাজার ২০৮ জন ভোটারের মধ্যে চার হাজার ২৩০ আইনজীবী ভোট প্রদান করেছেন।
নীল দলের ট্রেজারার প্রার্থী আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, উপরে এসে দেখি ব্যালট নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর এখন ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে বারের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলেন।
সম্পাদকীয় সব ১১ টি পদের সবগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের জয়লাভ করেছেন। সহ-সভাপতি পদে আবুল কালাম মোঃ আক্তার হোসেন কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ ওমর ফারুক , সিনিয়র সহ -সাধারণ সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান, লাইব্রেরি সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মনিরা বেগম, অফিস সম্পাদক পদে সারোয়ার জাহান,সমাজকল্যাণ পদে প্রদীপ চন্দ্র সরকার ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোঃ ওয়াকিলুর রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জয় লাভ করেছেন।
তবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপিপন্থি নীল প্যানেল আইনজীবীরা। ভোট কারচুপির অভিযোগ সহ নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাত সহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। নীল প্যানেলের আইনজীবী ও সভাপতি প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন , থেকে ব্যালট ছিনতাই হয়েছে। এ নির্বাচন আমরা মানি না যেখানে ৩ হাজার ১০০ ভেট কারচুপি ছবি হয়েছে।
বিআরইউ