বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে নিয়ম মেনে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসাথে যাদের নিবন্ধন রয়েছে এবং নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের হয়রানি না করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আতাবুল্লাহর বেঞ্চ।
একই সঙ্গে, নিয়ম মেনে যারা ব্যবসা করছে, সেসব হোটেল রেস্তোরাঁকে কেন ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না, এবং তাদের হয়রানি করা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
কেএফসি, মুঘল এম্পায়ার, নবাবী ভোজ ও নূর আলী টাওয়ারকে ৯ লাখ টাকা জরিমানাকেএফসি, মুঘল এম্পায়ার, নবাবী ভোজ ও নূর আলী টাওয়ারকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা তবে, বিধিসম্মত ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অভিযান পরিচালনা ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসানুল করিম বলেন, ‘আমরা অভিযানকে নিরুৎসাহিত করার জন্য রিট করিনি। অভিযান যদি চলে, চলবে। কিন্তু অভিযান চালানোর সময় যেন কর্তৃপক্ষ সচেতন হয় যে যেসব রেস্টুরেন্ট আইন মেনে চলছে তারা যেন সে ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ না করে।’
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল।
এ ঘটনার পর থেকে রেস্তোরাঁগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। চলমান এ অভিযানে নিরাপত্তা ঘাটতি থাকায় বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে অনেকগুলোকে।
আরএস