সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে ১৮৯০ সালে করা আইনে নারীদের অভিভাবকত্ব কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সাথে অভিভাবকত্ব আইন -১৮৯০ এর ১৯ (বি) ধারা কে কেন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন ।
মামলার শুনানি শেষে রিট পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
আইন সচিব, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, মানবাধিকার কমিশন,আইন কমিশন সহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, এডভোকেট কামরুন্নাহার, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার এবং এডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম।
সরকারের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
অভিভাবকত্ব এবং প্রতিপাল্য আইন -১৮৯০ এর ১৯ (বি) ধারা কে কেন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে পাঁচটি নারী অধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই রিট আবেদন দায়ের করা হয়।রিটকারী পাঁচটি নারী সংগঠন হলো
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারী পক্ষ ,আলাপ এবং থিঙ্ক লিগ্যাল ।
মানবাধিকার কমিশন এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে
যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের সাথে কথা বলে একটা নির্দেশিকা এবং নীতিমালা প্রণয়ন করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,"এটা অনেক বড় একটা অর্জন।কোন নারী কে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না।আজ আমরা পাঁচটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি রিট করেছি কেন
নারীদের অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না ।আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ গুলোতে নারীদের অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছে।"
আরএস