দেশে কর্মরত বৈধ-অবৈধ বিদেশিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম

বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি বৈধ ও অবৈধ শ্রমিকদের তালিকা করে প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) এ-সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে কতজন বৈধ ও অবৈধ শ্রমিক কাজ করছেন তার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কাজ করছে। এর ফলে এ দেশের নাগরিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ‘অবৈধ বিদেশি খেদাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এ তথ্য দেয়।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছেন। অথচ, বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ বিদেশিরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ হওয়ায় তারা ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান না করে দেশের টাকা পাচার করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে; সেইসঙ্গে মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারপরও আমাদের রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

সংগঠনটির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহসিন রশিদ বলেন, আমরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা আমাদের এজেন্সিগুলোতে কাজ করেন তাদের বড় দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশটাকে রক্ষা করা। বাংলাদেশের জন্য যা করা দরকার সেটাই আপনাদের করতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন, আমাদের সঙ্গে যোগ দেন, সহায়তা করুন।

আরএস