পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ভুক্তভোগী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশকে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক ডিসি লালবাগ জোন জাফর হোসেন, সাবেক এসি কোতোয়ালি শাহীনুল রহমান, সাবেক এডিসি লালবাগ জোন শহিদুল ইসলাম, সাবেক এডিসি কোতোয়ালি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, বর্তমান ডিসি প্রসিকিউশন আনিসুর রহমান, কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি শাহিনুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নাজমুল হাসান, ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান, এসআই শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, কনস্টেবল রমজান মোল্লা, মো. মাহবুব আলম, মো. আব্দুর রশীদ ও বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিট গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি পদযাত্রার আয়োজন করে। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে সিএমএম কোর্টের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। মিছিলটি মেইন রোডে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ অশোভন আচরণ করে। পদযাত্রার সামনে থাকা নারী আইনজীবীরা এর কারণ জানতে চাইলে জিনস প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত লোকগুলো তাদের বেধড়ক মারধর শুরু করে। এতে আহত ও শ্লীলতাহানির শিকার হন কয়েকজন নারী আইনজীবী। পেছনে থাকা পুরুষ আইনজীবীরা এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে আহত হন সিনিয়র আইনজীবীসহ আরও কয়েকজন।
আরও বলা হয়, আইনজীবীদের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আক্রমণ করে তাদের গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন বলে আবেদনে অভিযোগ করা হয়। মামলাটি আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় যৌক্তিক সময়ে দায়ের করা সম্ভব হয়নি।
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে আইনের শাসনের শুভ সূচনা হওয়ায় তারা মামলা দায়ের করলেন।
আরএস