ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের মামলাবহাল রাখার আদেশ বাতিল হয়ে যায় এবং মামলার কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হলো। আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেন, ‘আপিল ইজ অ্যালাউড।’
অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রায় ঘোষণার পর দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, “হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে আপিল বিভাগের রায়ে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে।” অপরদিকে, আপিলকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, “এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।”
এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ইউনূসসহ সাতজন। শুনানি শেষে ২৪ জুলাই হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করলে তাঁরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আজ রায় দেন আদালত।
পাঁচ সদস্যের মধ্যে বাকি ছয়জন হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলাটি ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান দায়ের করেছিলেন।
এদিকে গত বছরের ১১ আগস্ট, মামলাটি বিচারিক আদালত থেকে রাষ্ট্রপক্ষ নিজেই প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সে বিষয়ে আপিলকারীদের জানানো হয়নি বলে দাবি করেন তাদের আইনজীবীরা।
বিআরইউ