আপনি হয়তো ভীষণ বিশ্বাস করে পরম নির্ভরতায় তার বুকে মাথা রাখছেন, এদিকে আপনার সঙ্গী গোপনে আপনাকে প্রতারিত করে চলেছেন দিনের পর দিন। যারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে, তারা খুব কাছের মানুষই হয়। কারণ আমরা দূরের মানুষদের বিশ্বাস করি না। আপনার সঙ্গী, যাকে দেখে আপনার সকাল হয়, আপনার জীবনের সব হাসি-কান্নায় যিনি জড়িয়ে আছেন, তিনি খুব গোপনে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ করে চলেছেন। আবার সেসবের কোনো চিহ্নও রাখছেন না!
কথায় আছে, মানুষ যখন কোনো অপরাধ করে তখন কোনো কোনো চিহ্ন রেখে যায়। আপনার সঙ্গী অতি সাবধানতার পরেও হয়তো এমন কোনো চিহ্ন রেখে যাচ্ছেন যা একটু খেয়াল করলেই আপনি বুঝতে পারবেন। অকারণে সন্দেহ কোনো কাজের কথা নয়। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু চোখ এড়িয়ে যেতে দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদি অনেকদিন ধরে আপনার মনে কিছু একটা খচখচ করতে থাকে তবে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল করুন-
তিনি খুব ভেবেচিন্তে কথা বলেন
যারা প্রতারণা করেন, তারা ভীষণ সতর্কও থাকেন। তাই সঙ্গীকে কখন কী কথা বলছেন সে বিষয়ে থাকেন মাত্রাতিরিক্ত সতর্ক। এমনিতে বুঝেশুনে কথা বলা ভালো। কিন্তু তার কথা শুনলে আপনার মনে হবে আগে থেকেই পুরো গল্প বানিয়ে রেখেছেন। যেন সঙ্গীর মনে কোনো সন্দেহের উদয় না হয়। তারা পুরো বিষয়টি মাথার ভেতর ছক করে রাখেন। আপনার মনে যদি কোনো ধরনের সন্দেহ কাজ করে তবে তার সঙ্গে বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলুন। আপনিও সতর্ক ও সাবধান হয়ে যান।
সব কথা আপনাকে জানানোর অভিনয় করেন
আপনার সঙ্গী কি সব কথাই আপনাকে জানাচ্ছে, এমন ভাব করেন? এ ধরনের মানুষেরা কথা বলার সময় এমন ভাব করে যেন সঙ্গীর কাছে কিছুই লুকাচ্ছেন না, দিনের ছোট-বড় সব ঘটনা আপনার সঙ্গে শেয়ার করছেন। কাউকে দেখে ভালোলাগলো কি না, কেউ তার দিকে তাকালো কি না এমন অনেককিছু তিনি আপনাকে বলবেন যেগুলো সাধারণত বলার কথা নয়। তার ভেতরে অতি চাঞ্চল্য দেখলে সতর্ক হোন। হতে পারে এর আড়ালেই তিনি কিছু গোপন করে চলেছেন।
ফোনে নানা ধরনের পাসওয়ার্ড
সঙ্গীর ব্যক্তিগত জীবনের সবটাতেই আপনার নাক গলাতে হবে, এমন নয়। তার অনুমতি ছাড়া তার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করাও ঠিক কাজ নয়। কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি তার ফোনটি সব সময় নানা ধরনের পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত রাখেন এবং আপনার থেকে দূরে দূরে রাখেন তবে তা হতে পারে আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। নিজের প্রাইভেসি রক্ষা করা ভালো কাজ কিন্তু তিনি যদি এক্ষেত্রে আপনাকে দেখেও আতঙ্কিত হন, তবে সেটি হতে পারে বিপদজনক।
ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করে রাখেন
তার সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চ অপশনে কারও নাম খুঁজে পাবেন না। এমনকী তাদের ফোনেও ব্রাউজিং হিস্ট্রি খুঁজে পাবেন না। যেন তারা কখনোই কিছু সার্চ করেননি। ফোনের পাশাপাশি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এর কারণ হলো তাদের মনে সব সময় এক ধরনের ভয় কাজ করে। আপনি তার সার্চ হিস্ট্রি থেকে জেনে যেতে পারেন অনেককিছুই। তাই তিনি এভাবে সব ডিলিট করে রাখেন।
একটাই প্যাটার্ন মেনে চলা
যিনি প্রতারণা করেন, তার নিজস্ব একটা প্যাটার্ন থাকে। সঙ্গীকে মিথ্যা বলা বা তার কাছে সবকিছু লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি প্যাটার্ন মেনে চলেন তারা। তারা সেই প্যাটার্নের বাইরে যান না। তাই খেয়াল করুন তিনি কীভাবে আপনার সঙ্গে কথা বলছেন, সবকিছুই নির্দিষ্ট ছকে ফেলে এগোচ্ছেন কি না। এ ধরনের সমস্যা দেখলে মুখোমুখি বসে সমাধান করুন। নিজেকে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ দেবেন না।
আরইউ