বাঙালি নারী মানেই শাড়ি। শাড়ি ভারত, বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক।
তবে এই শাড়ি পরার অভ্যাস না থাকলে অনেককেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরতেই হয়।
এতে রাস্তায় বেরিয়ে আঁচল, কুঁচি সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই শাড়ি পরার সময় ছোট কিছু টিপস মানলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
হালকা শাড়ি পরুন। শিফন, সফট ঢাকাই, অরগেঞ্জার মতো হালকা শাড়ি পরতে পারেন। সুতির হ্যান্ডলুম সেরা পছন্দ হতে পারে।
পেটিকোট: শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে পেটিকোট পরুন। সুতির পেটিকোটের বদলে আপনি স্লিকের পেটিকোট পরতে পারেন। ফিশটেল জাতীয় পেটিকোট কিংবা পেন্সিল স্কার্টের মতো পেটিকোট শাড়ি পরার জন্য ভালো। এতে শাড়ির পরলে শারীরিক গঠন ঠিক থাকে। অর্থাৎ আপনাকে মোটা দেখাবে না।
ব্লাউজ নির্বাচন: ইদানিং ব্লাউজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বেড়েছে। শাড়ির রঙের থেকে একদম আলাদা রঙের ব্লাউজ পরুন। এখন কনস্ট্রাক্ট রঙের শাড়ি ও ব্লাউজই ট্রেন্ডিং। তবে ব্লাউজ যাতে ভালোভাবে ফিট হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আগে জুতা পরুন: শাড়ি পরার আগে জুতো পরুন। হিল হলে এই টিপস আপনাকে মানতেই হবে। এতে উচ্চতা বোঝা যায়। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন, যে আপনাকে কতটা নিচু করে শাড়ি পরতে হবে। খুব নিচু কিংবা খুব উঁচু করে শাড়ি পরবেন না। কুঁচি মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে পায়ে জড়িয়ে যেতে পারে এবং আপনি হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেতে পারেন। আবার খুব উঁচু করে পরলে গোড়ালি দেখা যায়, যা আপনার লুককে নষ্ট করে দিতে পারে।
প্লিট করুন : শাড়ি প্লিট করে পরুন। শাড়ি পরে প্লিট করতে পারেন। কিন্তু আগে প্লিট করলে আপনার শাড়ি পরতে সুবিধা হবে। প্রথমবার শাড়ি পরলে আঁচল ছেড়ে পরবেন না। এতে আপনারই অসুবিধা হবে শাড়ি সামলাতে।
সেফটি পিন রাখুন : প্রথমবার শাড়ি পরছেন, সুতরাং সেফটি পিনের প্রয়োজন একটু বেশি পরবে। আঁচলে সেফটি পিন দেওয়ার পাশাপাশি কুঁচি উপরিভাগে একটা ছোট সেফটি পিন লাগিয়ে নিন। এতে আপনার কুঁচি নিজের জায়গা থেকে সরবে না।
এআরএস