দেশের ব্যাতিক্রমী প্রকাশনা `ক্রেয়নম্যাগ` এর উদ্যোগে ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হলো ক্যালিগ্রাফি এবং টাইপোগ্রাফি প্রদর্শনী `বর্ণমালা`৷ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত৷
পৃথিবীর সব হারিয়ে যাওয়া বর্ণমালার প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে বাংলাদেশের সকল ভাষাভাষী মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্রেয়নম্যাগ চায় বাংলাদেশি বর্ণমালার সংরক্ষন করতে৷ বাংলাদেশের যেকোন ধরনের ভাষা`র ( বাংলা, আদিবাসী গোষ্ঠীর ভাষা) লিপিমালাকে ক্যালিগ্রাফি, টাইপোগ্রাফি, লেটারিং আকারে সর্ব সমক্ষে উপস্থাপন করার সেই প্রয়াসেই `বর্ণমালা` প্রদর্শনীর আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা-সাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন, লায়ন সালমা আদিল এম জে এফ, প্রতিষ্ঠাতা (সালমা আদিল ফাউন্ডেশন), সি এফ ও ( টপ অফ মাইন্ড), ইউ এন ডি পি এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার রেবেকা সুলতানা এবং বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য কবি গুলশান-ই-ইয়াসমীন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সালমা আদিল বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারে ক্রেয়নম্যাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে৷ বর্ণমালা প্রদর্শনীটি সেই উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ আমি আশাকরি এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষা নিয়ে আরও বেশি সচেতন হবে।’
ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ, শুদ্ধ প্রয়োগের জন্য বর্ণমালার সঠিক ব্যবহার জানা অপরিহার্য৷ বর্ণমালার সংরক্ষনের অভাবেই নানা ভাষা আজ হারিয়ে গেছে৷ এই প্রসঙ্গে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘আমরা ভাষার জন্যে রক্ত দিয়েছি। এই ভাষা শুদ্ধভাবে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। সংরক্ষনের অভাবে বাংলা বর্ণমালা যেন হারিয়ে না যায়৷ ভাষার সংরক্ষনে ক্রেয়নম্যাগের এই উদ্যোগ আরও এগিয়ে যাক।’
ব্যাকপেজ পি আর-এর পি আর সহযোগিতায় ক্রেয়নম্যাগ আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইউ এন ডি পি এবং প্রচার সহায়তায় রয়েছে ভলেন্টিয়ার অপরচুনিটিজ।
ইউএনডিপির প্রোজেক্ট ম্যানেজার রেবেকা সুলতানা জানান, ‘বর্ণমালা প্রদর্শনী ভাষাকে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলছে আমাদের সামনে। আমি চাইবো ক্রেয়নম্যাগের এই আয়োজন অব্যাহত থাকুক। বাংলা ভাষার সাথে অন্য ভাষা গুলোও বেড়ে উঠুক সমান ছন্দে। ইউ এনডিপি এই আয়োজনে অংশীদার হয়ে আনন্দিত৷’
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন৷ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন অরূপ বাউল, জান্নাতুল ফেরদৌস, শুভ্র ধর, আব্দুল বাতেন সরকার, মনোয়ার হোসেন শাহ, মো: মোরসালিন বিন কাশেম, ওবাইদুল্লাহ ওমর, উপল রায় চৌধুরী, মেহনাজ তাবাসসুমসহ আরও অনেকে।
আরএস