শিশু ঘুমায় না, করণীয় কী

স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

নতুন শিশুর আগমন মানে নির্ধারিত রুটিনের বিরাট পরিবর্তন। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে ঘুমের। শিশুকে খাওয়ানো, ডায়াপার বদলানোর জন্য নতুন মাকে অনেকবারই রাতে উঠতে হয়। দিন ও রাতের পার্থক্য বোঝে না নবজাতক। তা ছাড়া শিশুর পেটব্যথার কান্না তো আছেই। আবার কোনো কোনো সন্তানের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা দিনে বেশি ঘুমায় আর সারা রাত জেগে থাকে। আর কিছু শিশু দিন–রাত সব সময়ই কম ঘুমায়। নতুন মায়ের জন্য এই ঘুমের রুটিনে–বিপর্যয় বেশ চ্যালেঞ্জিং। রাতের ঘুমে সমস্যা হওয়ায় মা নিজেও ক্লান্তি বোধ করেন, মনমেজাজও খিটখিটে হয়ে থাকে।

যদিও ছোট্ট শিশুটির ঘন ঘন জেগে ওঠা অস্বাভাবিক নয়, তবে সে যদি অসুস্থতা বা ক্লান্তির কারণে ঠিকঠাক ঘুমাতে না পারে তখন কী করবেন? টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে, যেসব সমস্যার কারণে শিশু ঠিকভাবে ঘুমাতে চায় না।

শিশু ২৪ ঘণ্টা শিডিউলে অভ্যস্ত নয়

মূলত, শিশুর নিজস্ব একটি সার্কাডিয়ান রিদম রয়েছে - এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা শরীরের ঘুম জাগ্রত চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার নবজাতকের দিনের সময় এবং রাতের সময়ের পার্থক্য শিখতে ১২ সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। তবে শিশুটি যাতে রাতে বেশি ঘুমায় তা নিশ্চিত করার জন্য আপনি ধীরে ধীরে তার দিনের বেলা জেগে থাকার সময়টি বাড়িয়ে তুলতে পারেন। ঘুমের চক্রটি পুনরায় সেট করার জন্য আপনি কিছুটা সময় শিশুকে বাইরে প্রাকৃতিক আলোতে রাখতে পারেন।

শিশুর  ক্ষুধা
যেহেতু শিশুর নিজস্ব প্রকাশ করার কোনো উপায় নেই, তাই না ঘুমানোর মাধ্যমে সে তার চাহিদার কথা আপনাকে জানান দিতে চেষ্টা করতে পারে। যদি আপনার ছোট্ট শিশুটি ঘুমাতে না চায়, তবে সে ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত হতে পারে। এমনকি যদি আপনি শিশুকে এক বা দুই ঘণ্টা আগেও খাইয়ে থাকেন, তবে মনে রাখবেন যে, নবজাতকদের ঘন ঘন খাওয়ানো প্রয়োজন। সুতরাং, যদি আপনার শিশু না ঘুমায়, তবে তাকে আবার খাওয়ানো দরকার কি-না তা পরীক্ষা করে দেখুন।

শিশুর ক্লান্তি
দিনের বেলা যদি অতিরিক্ত সময় জেগে থাকে তবে শিশুটি ক্লান্তবোধ করতে পারে। পরবর্তীতে ঘুম না আসার এটিও একটি কারণ। আপনার শিশুটি কখন ঘুমাতে চাইছে, ঠিকভাবে ঘুমের পরিবেশ পাচ্ছে কি-না সেদিকে নজর রাখুন।

শিশুর বিরক্তি
শিশুর জন্য তাপমাত্রা কি খুব গরম বা ঠান্ডা? ডায়াপার কি খুব টাইট বা ভেজা বা নোংরা? আপনার নবজাতক কেন ঘুমাতে পারছে না তা যদি আপনি বুঝতে না পারেন, তবে অস্বস্তির লক্ষণগুলো পরীক্ষা করার চেষ্টা করুন।

শিশুকে সময় দিন
হ্যাঁ, মাঝে মাঝে শিশুকে আবার ঘুমানোর জন্য তাকে প্রশান্তি দিন। তাকে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার সঙ্গে তার বন্ধনও আর গাঢ় হবে।

আপনার শিশুটির ঘুমের অভ্যাস রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে না। পুরোপুরি সঠিক নিয়মে ঘুমের অভ্যাস তৈরি হতে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এই সমস্যাগুলো বের করে সে অনুযায়ি নিয়ম মেনে চললে, শিশুর দিন–রাতের ঘুমের চক্র স্বাস্থ্যকর রুটিনে আনা সম্ভব।

/বিউ