আজ ১৯ ডিসেম্বর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৮৪৭ সালে ১৩ নভেম্বর নানা বাড়ী কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়া গ্রামে সৈয়দ মীর মুয়াজ্জেম হোসেন ও মা দৌলতন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করলেও তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামের নবাব বাড়ীতে তার বাকি জীবন কাটিয়েছেন।
১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থল ঘিরে বাংলা একাডেমি মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স নামে একটি সুসজ্জিত ভবন নির্মাণ করেছে।
[270962]
দিবসটি উপলক্ষে তাঁর সমাধিস্থল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র মীর মশাররফ হোসেন বাংলা গদ্য সাহিত্যের সূচনা পর্বে সাহিত্য সাধনা করলেও ৩৬টি গ্রন্থ রচনা করে সাফল্যের স্বাক্ষ্য রেখেগেছেন বাংলা সাহিত্যের সব পাতায়। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে বিষাদ সিন্ধু (১৮৮৫-৯১), গাজী মিয়ার বস্তানী, আত্মজীবনিমূলক উপন্যাস উদাসীন পথিকের মনের কথা (১৮৯০), রত্নাবলী (১৮৬৯, যা বাঙ্গালী মুসলমান রচিত প্রথম এবং মীর মশাররফ হোসেন এর প্রথম উপন্যাস), মুসলমান চরিত্র অবলম্বনে রচিত প্রথম নাটক জমিদার দর্পন (১৮৭৩), অবহেলিত নারী হৃদয়ের সামন্ত সমাজের অভ্যন্তরে প্রথম দ্রোহ নাটক বসন্ত কুমারী (১৮৭৩), সম সাময়িক ইতিহাস গৌরী সেতু (কাব্য)।
[270975]
বৃটিশ শাসিত তদানীন্তন ভারত বর্ষের মুসলিম পুনর্জাগরনের কথা মাথায় রেখে সেদিন মুসলমানদের অতীত গৌরবময় ঐহিত্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাতীকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই সেদিন রচনা করেছিলেন ধর্ম ও ইসলাম ভিত্তিক উপন্যাস ইসলামের জয়, মদীনার গৌরব, হয়রত ওমরের ধর্ম জীবন লাভ প্রভৃতি।
মীর মশাররফ হোসেন এর জীবনযাপন ও কর্ম সাধনা সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে হবে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার জীবনী, গাজী মিয়ার বস্তানী, বিবি কুলছুম (১৯১০)।
এআরএস