‘স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের জন্যে ডিম’—প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালিত হচ্ছে। ডিমের গুণগতমান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার ২১তম আয়োজন এটি। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। তবে দেশে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ছোট পরিসরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
পৃথিবীতে মাত্র কয়েকটি খাদ্যকে সুপার ফুড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়- যার মধ্যে ডিম অন্যতম। ডিমকে বলা হয়ে থাকে পরিপূর্ণ খাদ্য। এই সময়ে বাংলাদেশে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা মাথাপিছু ১৩৫টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩৬টি। এমনটাই দাবি করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এ বছর ডিমের প্রাপ্যতা কিছুটা কমেছে। ফিডের ক্রাইসিসের কারণে এ প্রাপ্যতা একটু কমেছে। যেহেতু কিছু খামার সমস্যায় পড়েছে, তাই এবার প্রাপ্যতা বাড়েনি।
ইতিবাচক ক্যাম্পেইন চালাতে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা শুরু হয়। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছায়।
তার আগে ১৯৬৪ সালে ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষজাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয়। এই সংস্থার সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৮০টি দেশ।
আন্তর্জাতিক ডিম কমিশনের মতে, ১৯৯৬ সালের প্রথম ইভেন্টের পর থেকে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন বেড়েছে এবং বিকশিত হয়েছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে ১০০ টিরও বেশি দেশ বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করেছে।
এইচআর