বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি (বিবিএ) ও পুলিশ বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট ও সেফটি টিমের সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রবিউল আলম।
সোমবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় পদ্মা সেতুর জাজিরা টোল প্লাজায় তিনি এ কথা বলেন।
রবিউল আলম বলেন, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পর ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সেতুর উপরিভাগে এবং মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামাল যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি সাধারণ জনগণ সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পায়ে হেঁটে সেতুর ওপরে ওঠার চেষ্টা করছেন। সেতুর ওপর থেকে যানবাহনেও উঠছেন। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ ও ছবি-ভিডিও ধারণ করছেন। এতে সেতুর ওপর তীব্র যানজটসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
রবিউল আলম আরও বলেন, শুধু তাই নয়, সেতুর ওপর রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতির ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ২৬ জুন বিবিএর অনুরোধে অ্যাডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট ও ১৯ কম্পোজিট ব্রিগেড তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সেতুর ওপর মোবাইল টহল জোরদার করা হয়েছে। উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সেতুর ওপর গাড়ি থামানো ও গাড়ি থেকে না নামার বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ডিউটি পোস্টের মাধ্যমে সেতুর ওপর যাতে কোনো জনগণ হেঁটে না উঠতে পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আমারসংবাদ/এবি