জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১২ হাজার ৪৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩ হাজার ২৭৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো-
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়কের (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-৬) (দ্বিতীয় সংশোধিত), নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ইটাখোলা-মঠখোলা-কটিয়াদী সড়ক (আর-২১১) ও নয়াপাড়া-আড়াইহাজার-নরসিংদী-রায়পুরা (আর-১১৪) দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প।
এছাড়াও ময়মনসিংহ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য ধনুয়া থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি) (২য় সংশোধিত), খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ, উপজেলা গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিডিপি) (দ্বিতীয় সংশোধিত), বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।
সভায় রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়িয়ে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকল্পটির ব্যয় ও সময় বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের দূরত্ব ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়ানোয় এর মেয়াদ বেড়েছে দেড় বছর এবং ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎসহ সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া সরকারের বাইরে যারা সাধারণ নাগরিক আছেন তাদেরও সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নতুন বলছেন না। অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন। মিটিং ছাড়া সামারে আপনারা স্যুট-কোট পরবেন না। প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই বলে আসছেন আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেকের সভায় আসন্ন আমন মৌসুম নিয়ে গুরুত্ব সহকাররে আলোচনা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজটি করবে। কৃষকদের বীজ সারসহ নানা সহযোগিতা বিনামূল্যে করবে সরকার। ভালোভাবে রোপা আমন ধরতে আমরা জোর দেব।
ইএফ