তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ১০ বছরে প্রচলিত সেক্টরগুলোতে কর্মরত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ কাজ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। বিপরীতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে নতুন করে কাজের সুযোগ পাবেন এক কোটিরও বেশি মানুষ।
রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ফিরচার ফর নেশন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় পলক বলেন, এটুআই সম্প্রতি একটি জরিপে দেখেছে যে পরবর্তী ১০ বছরে পাঁচ মিলিয়ন মানুষ কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এ সময়ে প্রযুক্তিসহ নতুন কয়েকটি খাতে এক কোটিরও বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দেশে গড়ে উঠছে শতাধিক আইটি ও হাইটেক পার্ক। বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরইমধ্যে আমরা সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার পেয়েছি। যারা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। অনেক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে এসব ফ্রিল্যান্সাররা। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিখাতের রফতানি আয় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠাক্রমের বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা প্রায়ই বলেন, দক্ষ লোক পাচ্ছেন না তারা। আবার উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে অনেক তরুণ বেকার। এ অবস্থায় আমরা কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী লোক সরবরাহে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি।
প্রাথমিকে শিক্ষার্থীরা যাতে কোডিং শিখতে পারে সেজন্য পাঠ্যক্রমে সে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবি