এখন থেকে পুলিশের গাড়িতে তেল বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর সব ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ বরাদ্দ কমবে। জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আভিযানিক গাড়ির তেল সমন্বয় করে এ রেশিও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বশীলরা জানায়, পুলিশ সুপাররা (এসপি) আগে প্রতি মাসে ৪০০-৪৫০ লিটার তেল পেতেন, তা বর্তমানে ২০০-২৫০ লিটারে করা হয়েছে। অন্যান্য গাড়িতে আগে যেখানে ৩০০-৪০০ লিটার বরাদ্দ ছিল এবার তাদের ২০০ লিটার দেওয়া হবে। এমনি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার গাড়ির বরাদ্দ তেল আগের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও বরাদ্দ ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তারা।
ডিএমপির পরিবহন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জোবায়েদুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশে জ্বালানির ২০ শতাংশ হ্রাস করার চেষ্টায় আছি। এরই মধ্যে ডিএমপির সব ইউনিটকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঠিক কত কমেছে তা এক মাস পর জানানো যাবে। তবে এতে পুলিশের কোনো আভিযানিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে দেওয়া হবে না।
তবে কেউ কেউ ছন্দপতনের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। তাদের দাবি অভিযানে কিছুটা সমস্যাতো হবেই। আসামি গ্রেফতার ও মাদক বিরোধী অভিযানে এর প্রভাব পড়া স্বাভাবিক।
গত ২১ জুলাই সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২০-২৫ শতাংশ জ্বালানি কমানোর নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এর আগে ২০ জুলাই পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কিছু ব্যয় সাশ্রয় করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিদ্ধান্ত নেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
পরিপত্রে জানানো হয়, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। এই নির্দেশনার পর পুলিশের সব ইউনিটের জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ইএফ