পুলিশ প্রধান হচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাবের ডিজি খুরশীদ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২, ০১:৫১ এএম
আব্দুল্লাহ আল মামুন

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হচ্ছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।  এছাড়া র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত আইজিপি খুরশীদ হোসেন নাম প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

শিগগিরই এই ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।‌

সূত্রটি জানায়, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্থালাভিষিক্ত হবেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন বেনজীর আহমেদ।

২০২০ সালের ৮ এপ্রিল চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

১৫ এপ্রিল থেকে তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল মেয়াদে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এইচএসসি পাশ করেছেন ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশেল বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নীলফামারীর পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপ কমিশনার (ডিসি) এবং ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরে তিনি ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (অপারেশনস) এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট তাকে সিআইডির প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল তাকে র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।