২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার, ব্যবসায়িক অগ্রগতি এবং গ্রাহকের শতভাগ দাবি সবচেয়ে কম সময়ের নিষ্পত্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। জীবন বীমায় চতুর্থ প্রজন্মের এই কোম্পানিটি বীমা খাতে এমন কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থান করেছে যা ইতোপূর্বে কেউ করেনি। ফলে স্বয়ং বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অন্যান্য কোম্পানিকে বলা হয়েছে সোনালী লাইফের ডিজিটাল কার্যক্রমকে অনুসরণ করার।
এসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের প্রতিদানও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিনিয়ত গ্রাহক আস্থা বৃদ্ধির সাথে সাথে যেমন ব্যবসায়িক পরিধি বাড়ছে, তেমনি দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও সংস্থাগুলোর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ফলে সোনালী লাইফের সাফল্যের মুকুটে একের পর এক যুক্ত হতে থাকে রঙিন পালক। সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সফলতার মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরো চারটি পালক।
এদিন সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ সামিটের (এসএপিএস) উদ্যোগে সাউথ এশিয়া বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২২ এর চারটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা অর্জন করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এগুলো হলো- ১. বেস্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ইন প্রাইভেট সেক্টর, ২. বেস্ট ইউজ অব আইটি অ্যান্ড টেকনোলজি ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর, ৩. আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ং লিডারশিপ এক্সিলেন্স ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর এবং ৪. বেস্ট ইউজ অব মোবাইল টেকনোলজি ইন ইন্স্যুরেন্স সেক্টর।
রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি’র হাতে থেকে ক্রেস্ট গ্রহন করেন সোনালী লাইফের সিইও মীর রাশেদ বিন আমান। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিসটেন্ট এজেন্সি ডিরেক্টর মো. সাজিদুল আনোয়ার, মো. রফিকুল ইসলাম, সেলস ম্যানেজার শেখ বদিউজ্জামান রিপন, মহিউদ্দিন ফারুকী, আব্দুল্লাহিল কাফি, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. আনোয়ার হোসেন, অ্যাসিসটেন্ট সেলস ম্যানেজার সৈয়দ মো. আজিম, আরফিন বাদল রনি এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কল্লোল বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জীবন বীমা কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের দুরদর্শি পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা পর্ষদের দক্ষতা ও পরিশ্রমে অতি অল্প সময়ে জীবন বীমা খাতের নেতৃস্থানীয় কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৩১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যার মধ্যে শুধু ব্যক্তি বীমায় অর্জন করেছে ৩১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া মোট সম্পদ বেড়ে ৪৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ ও জীবন বীমা তহবিলের পরিমাণ ছিল ৫০৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে।
এতোসব উল্লেখযোগ্য সফলতার পরও প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয় থেকে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা কম ব্যয় করেছে। সর্বশেষ ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যেখানে এই ব্যয়ের সীমা ছিল ২০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এবি