সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৪ হাজার ৩২টি দুর্ঘটনায় (সড়ক-রেলপথ-নৌপথ) ৫৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৮ জন।
শনিবার (১ অক্টোবর) সেভ দ্য রোড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশের ২৫টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যের পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে সেভ দ্য রোড’র মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ, পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতিনিয়ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
সংগঠটি জানায়, বাইক লেন না থাকা, নিয়ম না মেনে দ্বিগুণ গতিতে পথে বাহন চালানো, যাত্রীদের অসাবধানতাসহ বিভিন্ন কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নৌ দুর্ঘটনাও।
নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অবৈধ নৌযানে সয়লাব যেমন হয়েছে, তেমনি তাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচলের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫৯টি। এসব দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহতের পাশাপাশি ৫১৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ১২ জন। রেলপথে ১৭৮টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ১৭৪ জন আহত হয়েছেন।
এ সময়ে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন শত শত যাত্রী হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে ৬৭৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৫০৯ জন আহত হয়েছেন। ১ হাজার ৯১৪টি বাস দুর্ঘটনায় ৩৪২ জন নিহত ও ১ হাজার ৮০২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাটারিচালিত যান, পিকআপ, সিএনজিসহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র বাহনে ১ হাজার ৬টি দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৯৬৯ জন।
২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আত্মপ্রকাশের পর গত ১৫ বছর ধরে আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথকে দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী ও গবেষণা সংগঠন সেভ দ্য রোড সেপ্টেম্বরের এই প্রতিবেদনেও বরাবরের মতো তাদের সুপারিশ তুলে ধরে।
সেখানে বলা হয়, দুর্ঘটনা রোধে দেশের সব সড়ক-মহাসড়ক ও সেতুতে বাইকলেন, পথচারীদের জন্য ফুটপাত, বাইসাইকেল লেন এবং সারাদেশে সব সড়ক-মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন-পর্যবেক্ষণ এবং ৫ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপন করলে সড়কপথ দুর্ঘটনা, যাত্রী হয়রানি, খুন, ধর্ষণমুক্ত হবে।
সেভ দ্য রোড এর চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পীসহ অন্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেপ্টেম্বরের এই প্রদিবেদন তৈরি করা হয়।
এবি