বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরগুলো বন্ধ থাকবে।
বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ঘূঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকার হালকা যন্ত্রপাতি সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এয়ারলাইনগুলোকেও তাদের যন্ত্রপাতি নিরপদ স্থানে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়ে কোনও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এরইমধ্যে ফ্লাইট কমিয়েছে নভোএয়ার বাংলাদেশ বিমান ও ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স। এখন পর্যন্ত শিডিউল ঠিক আছে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের। তবে বন্ধ ঘোষণা করা ওই তিন বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিত্রাং-এর প্রভাবে সকাল থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলে ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সিত্রাং মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর কিংবা সকালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
টিএইচ