দেড় হাজার বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্যাকেজিং, প্রিন্টিং ও পাবলিকেশন খাতের ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই’র প্যাকেজিং এন্ড পাবলিকেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এ সংগঠনটি ।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত প্রথম সভায় বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সুচয় আমিন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা খাতের সম্মিলিত বাজার প্রায় এক হাজার ৫৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার ১% লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও সম্ভাব্য রপ্তানির পরিমান হবে ১৫.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়তার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে সাথে প্যাকেজিং এর ব্যবহার বাড়ছে; ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। ইউরোপ আমেরিকাতে প্রায় ৮০ ভাগ খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত, দেশেও এর পরিমান ২০ ভাগের কাছাকাছি। এর মাধ্যমেই এ খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা স্পষ্ট।
বিপুল সম্ভাবনার এ বাজার ধরতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্রকরণ, শিল্পকারখানার কমপ্লায়ান্সসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মোঃ আমিন হেলালী বলেন, দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমান প্রকাশনা হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বাড়ায় মানসম্মত প্যাকেজিং বাধাগ্রস্থ হচ্ছে যা ইন্ডাস্ট্রিগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। প্যাকেজিং শিল্পের প্রসার ও বিপুল রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতিসহায়তাসহ সরকারি বেসরকারি জোড়ালো সমন্বয়ের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও টাম্পাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুস সামি আলমগীর। প্যাকেজিং খাতের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা চান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান। প্রিন্টিং প্যাকেজিং খাতের আন্তর্জাতিক বিশাল বাজার ধরতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এ খাতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি বেজ সিলেবাস তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মোঃ মাহমুদুল হাসান জানান, স্থায়ী ও টেকসই নীতিমালার জন্য গবেষনাভিক্তিক প্রতিবেদন তৈরিতে ট্যারিফ কমিশন কাজ করে। এজন্য বাজেট পরবর্তী সময়েই প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, ইকবাল শাহরিয়ার, আক্কাস মাহমুদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, শামিম আহমেদ, সরকার মোঃ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।