জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা নেওয়ার বিধান সংযোজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে রিটার্নিং ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সরাসরি জমা দিতে হবে না। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের পরবর্তী সভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসির এসব পরিকল্পনার কথা জানান।
সারাবিশ্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এখন নিজেদের স্মার্ট বাংলাদেশ দাবি করি। এখন স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছুর আবেদনই অনলাইনে সাবমিশন হচ্ছে। অনলাইনে সাবমিশন দিলে সুবিধা আছে। জনপ্রতিনিধিরা শোডাউন দিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। অভিযোগ আছে, যারা সাবমিশন করতে চায় তাদের অনেকে বাধাগ্রস্থ হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই চিন্তা-ভাবনা থেকে কিভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাস্তবায়ন করব, সে বিষয়ে ইসির আইসিটি একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। অনলাইনে মনোনয়ন জমায় যেন অসুবিধা না হয়-সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।’
আগামী কমিশন সভায় অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হলে এটি বাস্তবায়ন করব। এটির পাইলট প্রজেক্ট নেব। চ্যালেঞ্জ কী ধরনের তা দেখব। প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ, তারপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এগুলোতে সফল হলে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা মনে করি, সুন্দর জিনিস হলে সবাই গ্রহণ করবেন।
অনলাইনের পাশাপাশি কেউ চাইলে সশরীরে গিয়েও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান রাখা হবে কিনা- জানতে চাইলে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘সমস্ত কিছু বিবেচনা করেই অনলাইনে করা হবে। দুইটা অপশন থাকবে না।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্পে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫ শতাধিক নির্বাচন ইভিএমে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবস্থা করা। আমরা এখন পর্যন্ত ইভিএমে ভোটের ব্যাপারে অনড়। আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে পরিকল্পনা কমিশন তাদের মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত জানাবে।