চট্টগ্রামমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে তখন প্রায় ৯০০ যাত্রী। তাদের অর্ধেকই পর্যটক। আছেন বিদেশি পর্যটকও। ট্রেনটি হঠাৎ থামে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও রেলস্টেশনে। কোনো ঘোষণা ছাড়াই ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে হঠাৎ বিকল হয়ে পড়া মালবাহী ট্রেন উদ্ধার করে প্রায় এক ঘণ্টা পর ফিরে আসে পাহাড়িকা ট্রেনের ইঞ্জিন।
আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে সাতগাঁও স্টেশনে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। মালবাহী ট্রেনটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে এরপর পাহাড়িকা ট্রেন চট্টগ্রামে পৌঁছে রাত সাড়ে আটটায়। ট্রেনটি সিলেট স্টেশন থেকে পৌনে ১০টায় ছেড়ে চট্টগ্রামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছার কথা।
রেলওয়ের কন্ট্রোল অফিস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর চট্টগ্রাম স্টেশনে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্বরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ রকম ঘটনা এই প্রথম। একটি চলন্ত ট্রেনকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনকে আরেকটি ট্রেন উদ্ধারে নিয়ে যাওয়া হলো।’
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে বেড়ানো শেষে এই ট্রেনে পরিবার নিয়ে ফিরছিলেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষের কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই! ট্রেনে হাজারো যাত্রী। তাদের এক ঘণ্টা ট্রেনের বগিতে বসিয়ে রাখা হয়। কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।’
শফিকুল আরও বলেন, ‘স্পেনের দুজন নাগরিকও সিলেট ঘুরে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। তারা বিষয়টি জেনে খুব বিরক্তি বোধ করলেন।’