পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছেন, আমরা মনে করি না শুধু একটি জাহাজের জন্য বা সুনির্দিষ্ট কোনো একটি কারণে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছিলেন। সেখানে নানান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাকে তলব বলা ঠিক হবে না, কারণ রাশিয়ার জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ায় ঘটনাটি ৬ সপ্তাহ আগের।
আমাদের রাষ্ট্রদূতের ঢাকায় পাঠানো রিপোর্টে রাশিয়ার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কোনো নির্দিষ্ট জাহাজ বা সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য মতে নিষেধাজ্ঞার বাইরেও রাশিয়ার ১১শ’ জাহাজ আছে।
আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রাশিয়ার ৬৯টি জাহাজকে বাংলাদেশ কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন, বাংলাদেশ বাণিজ্য নির্ভর দেশ। এ কারণেই আমাদের দেশের স্বার্থ বিবেচনায় ভেবেচিন্তে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যর পরিমাণ অনেক বড়ো, প্রায় ৮০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ উরসা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মার্কিন তথ্যের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার মস্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এআরএস