রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তারুণ্যের সমাবেশ ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।
পরে কনসার্টে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকি।
বুধবার (৮ মার্চ) ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সপ্তমবারের মত জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণ করে তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৫ সাল থেকে ইয়াং বাংলার নিয়মিত আয়োজন এই জয় বাংলা কনসার্ট। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর আর্মি স্টেডিয়ামে তারুণ্যের এই উচ্ছাস দেখা যায়নি।
কনসার্টের শুরুতেই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গান ‘আমার দেশ, সব মানুষের’ গেয়ে মঞ্চ মাতায় ‘আরেকটি রক ব্যান্ড’; পরে তারা তাদের নতুন অ্যালবাম থেকে ঘুম পাড়ানোর গানটি পরিবেশন করে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ গেয়ে পরিবেশনা শুরু করে ব্যান্ড ‘কার্নিভাল’।
তাদের পরপর মঞ্চে ওঠে মেঘদল। মুক্তির মন্দির সোপান তলে দিয়ে শুরু করে। আর শেষে নতুন গান ‘হাওয়ায়’ ভাসায় জনস্রোতকে।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কনসার্টস্থলে আসেন বঙ্গবন্ধু-দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
মেঘদলের পরিবেশনায় হাওয়া গানে হাওয়ায় ভেসেছে দর্শক। বিকেল ৫টায় মঞ্চে আসেন রাফা, পরিবেশন করেন এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা ও চলো আরেকবার উড়ি সহ তার গাওয়া জনপ্রিয় সব গান। এছাড়াও পরিবেশন করেন আমি আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে।
লালন মঞ্চে আসেন ৫.৫০ মিনিটে। লালনের সুমি পরিবেশন করে পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল। সময় গেলে সাধন হবে না একচোখেতে হাছন কান্দে আরেক চোখে লালন।
দয়াল আছে যার স্বদেশে জিন্দা মরার রুহানি পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না। দিয়ে শেষ করেন লালনের সুমি। এর পর দেখানো হয় বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্যালারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এবি