স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুলশানসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বিত্তবান মানুষদের ভর্তুকিমূল্যে পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সরবরাহের কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিত্তবানেরা কেন ভর্তুকিতে পানি কিনবেন। যেখানে প্রতি এক হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৬ টাকা? এটাতো সমতা হলো না। তাহলেতো বস্তির গরীব মানুষের জন্য দেওয়া সুবিধা, ধনীদের পকেটে চলে যাচ্ছে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দৈনিক ভোরের কাগজ ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের আয়োজনে ‘পানি ও পয়োনিষ্কাশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভিজাত এলাকায় পানি, গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে বস্তিসহ যেসব এলাকায় দরিদ্র মানুষ বাস করে সেসব এলাকায় কম মূল্যে দেয়ার কথা ভাবা উচিত।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মহানগরীতে ওয়াসা স্থাপনের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুধু আমাদের দেশে নয়, উন্নত অনেক দেশও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি।
এ সময় পানি সম্পদের প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনা এবং সকলের জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণে দেশে বিদ্যমান কার্যক্রমের গতি আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস.এম. এ. রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, ইউনিসেপ এর ওয়াস বিশেষজ্ঞ শফিকুল আলম।
সেমিনারে `রিসার্চ অ্যান্ড মনিটরিং অ্যাক্সিলারেট ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অব ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন সার্ভিস` শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাউন্ড ওয়াটার হাইড্রোলোজির ডিরেক্টর ড. আনোয়ার জাহিদ, `এক্সিলারেটিং চেঞ্জ টু অ্যাচিভ এসডিজি-৬; বাংলাদেশ কনটেক্সট` শিরোনামে আরেকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ।
সোহাগ/এআরএস