বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রিমান্ডে ৩

বাসস প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম

রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৩ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মাসুদুল হাসান।

অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এরআগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বংশাল থানার এসআই ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪৮টি ইউনিট কাজ করে। বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশেপাশে মার্কেটসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও এনেক্স ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এত প্রখর ছিল যে আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেছিল না। অধিকাংশ দোকান পাট পুড়ে যাওয়ায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন দুষ্কৃতকারী মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনিভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে হামলা করে। এ সময় তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের চকবাজার জোনের এডিসির নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে আসামিরা তাদের কাজে বাধা দেয়। এ সময় আসামিরা হত্যা করার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ হামলায় এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খান গুরুতর জখম হন।

এআরএস