দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত সামাজিক অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে প্রতিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বিশ্বব্যাংক এবং ব্রাক ইউনিভার্সিটি অব গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ আয়োজনে ‘সোশ্যাল প্রোগ্রেস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক ১১তম সাউথ এশিয়া অর্থনৈতিক পলিসি নেটওয়ার্ক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ কনফারেন্সে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন স্বাগত বক্তব্য এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সায়েক সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় বিকশিত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জীবন মানের উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূর করতে হবে। তিনি বলেন, বৈষম্য নিরসনে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই দেশের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
স্পিকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক অগ্রগতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট, মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামারসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন। আইসিটি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে তরুণ প্রজন্ম ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন।
‘আসুন আমরা একসাথে এমন একটি বিশ্ব তৈরি করি যা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, যুদ্ধ এবং মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে পারে এবং মানবতার কল্যাণের জন্য বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জন করতে পারে।’ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পূর্ণ সুবিধা নিতে নারী-পুরুষ সকলকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে। তাহলেই টেকসই সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।
আরএস