প্রকৌশল শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে কাজ করছে আইইবি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) বোর্ড অফ অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রির স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে প্রকৌশল শিক্ষার গুণগত মান অর্জনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

‘শিক্ষা টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষতা প্রদান করে’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে ১১-১২ মে আইইবির অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ঢাকাস্থ র্যানডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের বলরুমে “অ্যাক্রেডিটেশন এর মাধ্যমে প্রকৌশল শিক্ষার গুণমানের নিশ্চয়তার উপর আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম” শীর্ষক তৃতীয় সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবির সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ নুরুল হুদা এবং ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালায়েন্সের ওয়াশিংটন একর্ডের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস প্রফেসর এলিজাবেথ টেলর।

সভাপতিত্ব করেন আইইবি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার এএফএম সাইফুল আমিন।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, আইইবির অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালায়েন্স এর প্রভিশনাল সিগনেটরী হিসেবে অ্যাক্রেডিটেড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামগুলিতে প্রকৌশল শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যালায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের অধিকতর প্রকৌশল জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছে যাতে তারা আগামী দিনের কঠিন সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং উন্নততর পেশাদার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থায়ও তাই আগামীতে পরিবর্তন অত্যাবশকীয়।

নতুন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের দিকে উত্তরণের পথ মসৃনতর করার জন্য প্রকৌশল শিক্ষার বিভিন্ন অংশীজনদের করণীয় বিষয়াদির উপরে পর্যালোচনা এই সিম্পোজিয়ামের মূল উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের সিম্পোজিয়াম টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষা হালনাগাদ করণের প্রয়োজনীয়তার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

দুই দিনের কর্মসূচিতে মোট চারটি কারিগরি অধিবেশনে দুইটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা, ১০টি মূল বক্তৃতা এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন ম্যানুয়াল খসড়ার উপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং প্রকৌশলীরা এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
এআরএস