টানা তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। নিজ নিজ দেশে নির্বাচনের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতে নরেন্দ্র মোদি আবারও ক্ষমতাসীন হতে পারেন বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ইকনোমিস্ট পূর্বাভাস দিয়েছে।
দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোয়ান পুনর্নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশিত রবিবারের ডেইলি নিউজ লেটারের মুখবন্ধে দ্য ইকনোমিস্ট এর ডিজিটাল এডিটর অ্যাডাম রবার্টস দেশে দেশে নির্বাচনের সম্ভাব্য পরিণতির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অ্যাডাম রবার্টস লিখেছেন: কয়েক দশক ধরে জিম্বাবুয়ে ও ভারতের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে ফ্রান্স ও আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্যন্ত অনেক নির্বাচন কাভার করে আমি একটি উপসংহারে পৌঁছেছি, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা সাংবাদিকরা নাটকীয় গল্পের জন্য আকুল, পরিবর্তনের প্রমাণ দেখানোর দিকে ঝুঁকে পড়ি। কারণ এটি ধারাবাহিকতার চেয়ে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ। যখন আমরা একটি বিপর্যয়ের লক্ষণ খোঁজার চেষ্টা করি, তখন আমরা বিরোধী ব্যক্তিত্বদের সম্ভাবনাকে অতিমূল্যায়িত করার ঝুঁকি নিয়ে থাকি, বিশেষ করে কর্তৃত্ববাদী-ঝোঁকযুক্ত গণতন্ত্রে এরকমটা বেশি করি।
‘তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধরুন, যিনি দুই দশক ধরে ক্ষমতায় আছেন এবং সদ্য আরেকটি সাধারণ নির্বাচনে জিতেছেন। প্রথম রাউন্ডের ভোটের দুই সপ্তাহ আগে করা এক জরিপে বলা হয়েছিল, তিনি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের কাছে ক্ষমতা হারানোর একটি বাস্তব অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। আজ ভোট শেষ হয়েছে এবং তিনি ইতিমধ্যে এরদোয়ানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি সম্ভবত ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারার বাইরে অনেক দূরের গ্রামীণ ও স্বল্প শিক্ষিত ভোটারদের সমর্থনে জয়লাভ করেছেন,‘বলে মন্তব্য করেন দেশে দেশে নির্বাচন কাভার করে সঠিক বিশ্লেষণের জন্য বিখ্যাত সাংবাদিক অ্যাডাম রবার্টস।
দ্য ইকনোমিস্ট এর ডিজিটাল এডিটর ডেইলি নিউজ লেটারের মুখবন্ধে লিখেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা মন্তব্য করেছি যে এরদোয়ানের পরাজয় বিশ্বের অন্যান্য অংশের শক্তিশালী শাসকদের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে। দুঃখজনকভাবে, এরদোয়ানের বিজয়ও একটি বার্তা পাঠায়। উদাহরণ স্বরূপ, ভারতে নরেন্দ্র মোদি আগামী বছরের মধ্যে তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমার অনুমান তিনি তুরস্কে এরদোয়ানের জয়ের খবর শুনে উল্লসিত হবেন।
একইভাবে, বাংলাদেশের ‘লৌহমানবী’ শেখ হাসিনা, যিনি আজ ক্ষমতায় থাকা অন্য যে কোনও নারীর চেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের প্রথম দিকে একটি সাধারণ নির্বাচনের মুখোমুখি হবেন (‘তাঁর সাথে আমাদের সাম্প্রতিক সাক্ষাতকারভিত্তিক নিবন্ধটি পড়ুন,’ উল্লেখ করে রবার্টস লিংকটি দিয়েছেন)। আমার মনে হচ্ছে, উভয়ই নিজ নিজ নির্বাচনের পরও সরকারে থাকবেন।
আরএস