‘ওমান থেকে এলএনজি আমদানির ফের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর’

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম

আজ ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ওমান হতে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী অতিরিক্ত ০.২৫ থেকে ১.৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার এনাম) এলএনজি আমদানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওমার ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (ওটিআই) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।   

জি টু জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী ১.০ থেকে ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা ও ওটিআই এর সাথে গত ০৬ মে ২০১৮ তারিখে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে বর্তমানে বছরে ১.০ এমটিপি (১৬ কার্গো) এলএনজি সরবরাহ করছে। জি-টু-জি ভিত্তিতে ঙছ ঞৎধফরহম খরসরঃবফ (ঙছঞ) হতে ১০ (দশ) বছর মেয়াদে (২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৬ কার্গো এলএনজি এবং ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো এলএনজি যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি’র সমতুল্য) আমদানির লক্ষ্যে আজ ১৯ জুন ২০২৩ তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বর্তমানে বিদ্যমান দু‘টি চুক্তির আওতায় ৩.৫-৪.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।  সে হিসেবে আরও ২.৫-৩.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা যেতে পারে। এছাড়া মহেশখালিতে ৩য় ঋঝজটসহ পায়রায় একটি ঋঝজট স্থাপনের বিষয়ে  নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে । গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি ওমান সহ সংশ্লিষ্টদের আগত পিএসসিতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ওকিউটি এর নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী বক্তব্য রাখেন।

আরএস