ঢাকায় বসে সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিনভর ভোট নিয়ে অনিয়মের কোনো অভিযোগ না পেলেও সিসি ক্যামেরায় রাজশাহীর এক কেন্দ্রে অযাচিতভাবে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা গেছে এক নারীকে।
তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনাররা কথা বলেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের জেল দিয়েছে।
বুধবার (২১জুন) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের নাম তালাইমারী দারুল উলুম আলিম মাদরাসা (নিচতলা)।
কমিশন থেকে জানানো হয়, মোসা. সাবিয়া বেগম নামের এই নারী একাধিকবার মহিলা ভোটারদের নিয়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করেন। যা কমিশনাররা সিসিটিভি মনিটরের মাধ্যমে দেখে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ইসি জানায়, রাজশাহী সিটির ৩০ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি, ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ১৫৩টি। এই সিটি নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে ১ হাজার ৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে। অপরদিকে সিলেট সিটির ৪২টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯০টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি। এ নির্বাচন ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে এভাবে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সবশেষ বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা পাঁচটি উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছে কমিশন।
আরএস