বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ (ডিএসএ) নাম পরিবর্তিত হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন হচ্ছে। এটি ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) আইনটির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি জানান, সাইবার সিকিউরিট অ্যাক্ট নামে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে, কিন্তু বাতিল না। এখানে অনেক রকম পরিবর্তন করা হবে। অর্থাৎ, বেশ কিছু ধারা ও নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬-সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এর পর থেকেই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে।
বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
এরইমধ্যে বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এই আইন ও এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর। সম্প্রতি ঢাকা সফরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
গত ২৫ জুলাই সচিবালয়ে ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আসছে।
মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি— ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সবাই খুশি হবেন। আগামী সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংশোধন হচ্ছে।’
এআরএস