বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবদান অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের ৯ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েল-এর নিকট থেকে (তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ) ৫টি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টালিং (বাংলাদেশি টাকায় ১৭.৮৬ কোটি টাকা) মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় আনেন। যা-বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এখনও কার্যকরি অবদান রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অবদান’ শীর্ষক স্মৃতিফলক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত তিতাস, হবিগঞ্জ, ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।পরে রশিদপুর ও কৈলাশটিলায় এ স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী পদক্ষেপ দেশিয় গ্যাসের উপর জনগণের অধিকার নিশ্চিত হয়। এই স্মৃতিফলক আগামী প্রজন্মকে দেশের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, জুন ২০২৩ পর্যন্ত ঐ ৫টি গ্যাসক্ষেত্র হতে ১০.২৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে যার আর্থিক মূল্য বর্তমান বিক্রয় মূল্য হিসেবে ৬,২১,০০০ (ছয় লক্ষ একুশ হাজার) কোটি টাকা। জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ঐ ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ৫.২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে যার আর্থিক মুল্য ৩,১৭,০০০ (তিন লক্ষ সতের হাজার) কোটি টাকা। Financial Value’র চেয়ে Economic Value । এই গ্যাসের জন্যই শিল্প-কারখানা ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিজিএফসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুস সুলতান ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বক্তব্য রাখেন।
আরএস