রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১টার কিছু আগে এ ঘটনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মারতে শুরু করে। কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বেলা সোয়া একটার দিকে আগুন দেওয়া হয়েছে।
কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় অনেক সময় ধরেই বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর আগে বেলা সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিক-আপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
হামলাকারীরা বাসটি ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবেদক জানান, হামলা শুরু হলে বাস ও পিক-আপ থেকে নেমে দৌড়ে স্থান ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় তাঁদের লাঠি হাতে ধাওয়া দেন বিএনপির কর্মীরা। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বাস ভাঙচুরের পর বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন।
এরপরই পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষ কীভাবে শুরু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। কাকরাইলে পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও সমাবেশ চলছে।
এদিকে ব্যারিকেড ভেঙে আরামবাগ মোড় থেকে নটর ডেম কলেজ এলাকার সড়কে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছে।
এইচআর