জানুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকে প্রশ্ন করেন- হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী দলীয় সদস্য ও সমালোচকদের ওপর চলমান নিয়মতান্ত্রিক দমন-পীড়ন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অসম্ভব করে তুলেছে। ভয়েস অব আমেরিকা ইংলিশ সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ `অন্যায্য` নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে মহাসচিবের পক্ষ থেকে কী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, জাতিসংঘ এসব নির্বাচনে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করছে না। নির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া আমরা খুব কমই এটি করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, আমরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য সংস্থার রিপোর্ট দেখেছি। আমরা আবারও সংশ্লিষ্ট সকল দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- যাতে জনগণ অবাধে, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, হয়রানিমুক্ত থাকতে সক্ষম হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এআরএস