জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে মাদকসেবীদের দেখতে হবে। সামাজিক, পারিবারিক ও সরকারি পর্যায়ে তাদের বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে তাদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে৷ সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে জন্ম থেকেই বেঁচে থাকার সম্মানজনক অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকসেবীদের পরিপূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেই চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাতে হবে৷ মাদকসেবীদের একাংশ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। আমাদের সমন্বিত, মানবিক ও গবেষণাধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
[271585]
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ‘সিলভার জুবিলি অব হার্ম রিডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, বারিধারায় একটি হোটেলে ইউএনএইডস ও এনপিইউডিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সভাটির আয়োজন করা হয়।
সভায় ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকক্ষেত্রে বিচ্যুতি স্বাভাবিক কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই মূল সফলতা। মাদকসেবীদের প্রতি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে৷ কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করে কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে৷ বাংলাদেশে ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে মাদকের বিস্তৃতি তুলনামূলক কম।’
[271584]
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা লাভ করা মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা ও জনসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে অধিকার নিশ্চিত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অত্যন্ত সোচ্চার। তিনি আলোচনায় এক পর্যায়ে বলেন, `মাদক সরবরাহ বন্ধে জোর দিতে হবে। শক্ত হাতে মাদক কারবারীদের প্রতিহত করা গুরত্বপূর্ণ।’
এআরএস