ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে কক্সবাজারগামী বেঙ্গল পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা-মেট্রো ব-১২-২৫৫৫) বোমা সাদৃশ্য বস্তুর সন্ধান পেয়েছে ওই বাসের সুপারভাইজার হাসান। এতে পুরো বাসে যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। বাসটির চালক রুবেল জরুরীভাবে বাসটি মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের কাছে পাকিং করে বাসে থাকা সকল যাত্রীদের নামিয়ে দেন। পরে পুলিশের বিশেষ পরিসেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে বাসটি ঘিরে রাখে এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে সংবাদ দেয়। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
[271998]
পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সাদৃশ্য বস্তটি উদ্ধার করে নিশ্চিত করে এটি একটি টাইম বোমা, শক্তিশালী ডিভাইস । উদ্ধারের পর রাত ১টার দিকে ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করে।
বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া বাসটির সুপার সুপারভাইজার মো. হাসান জানান, ঢাকার গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে একজন যাত্রী তাদের বাসে উঠেন। পরবর্তী গাড়ি ছেড়ে সায়দাবাদ এসে থামিয়ে যাত্রী উঠানোর পর তারা হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত এসে পুনরায় গাড়ির যাত্রী গননা করতে গিয়ে দেখতে পান পেছনের ওই যাত্রী গাড়িতে নেই। এরপর ওই ব্যক্তির ফোনে কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেনি। একপর্যায়ে ওই যাত্রীর রেখে যাওয়া একটি ব্যাগ সুপারভাইজার সামনে নিয়ে আসতে গিয়ে দেখতেন পান বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখা। পরে সে ৯৯৯ এ কল দেন।
[271999]
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম (বার) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের বরাত দিয়ে জানান, এ টাইম বোমাটিতে টাইমার সেট করা ছিলো। নির্দিষ্ট সময়ে সক্রিয় হয়ে এটি বিষ্ফোরিত হতো। এতে পুরো বাসটিতে আগুন ধরে বাসে থাকা সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধিন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিশদ কিছু জানানো যাবে।
এআরএস