এইচআরএসএসের উদ্বেগ

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ, সংঘাত, হত্যা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে অন্তত ৩ জন নিহত, ২০০ জনের বেশি আহত, ১৫০ টির বেশি গৃহ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন পরবর্তী সারাদেশের সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতন ও ভাংচুরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।

সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল নাগরিক ভোট প্রদান করেননি এমন কিছু মানুষের উপর ও তাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। পরাজিত কিংবা বিজয়ী দলের প্রার্থী, ভোটার ও কর্মী-সমর্থকসহ সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী ও বেদে সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। 

এর মধ্যে ঝিনাইদহের পোড়াহাটিতে অন্তত ৪০ টি, মাদারীপুরের কালকিনি ও কাউয়াকুড়ির ৪০টি, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ২০ টির অধিক দোকান, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জান ও মালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এসময় শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি নগদ অর্থ, স্বর্নালংকার, গবাদি পশুসহ আসবাবপত্র লুটপাট হয়েছে।

এছাড়াও পিরোজপুরের ইন্দুরকানি, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, গাজীপুর, গাইবান্ধা, খুলনার ডুমুরিয়া, নাটোর, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, ঢাকার ধামরাই, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও কুমারখালী, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, রাজশাহীর পবা ও পারিলাসহ দেশের বিাভন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন দলের সমর্থক, সাধারণ মানুষ বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ অন্তত ৩ জনের প্রাণহানি, ২০০ জনের বেশি আহত ও কমপক্ষে ১৫০ টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। 

তাই হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সরকার ও সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উক্ত ঘটনা গুলোকে আমলে নিয়ে দ্রততার সাথে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ও পরিবারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে আহবান জানাচ্ছে।

আরএস