বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাকী ইনাম বলেন, ‘যিনি স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগ তিতিক্ষায় নিজের জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন সেই বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের মাঝে ফিরে না আসতেন, তাহলে আমাদের স্বাধীনতাই বৃথা হয়ে যেত।’
[272297]
তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘তোমরা বড় হয়ে আরও জানবে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা, বঙ্গবন্ধুর জীবনের ঐতিহাসিক ঘটনার কথা, সেদিন তোমরা উপলব্ধ করবে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন দিল্লি হয়ে ফিরছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিমানের জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলেন আর আপন মনে অশ্রুসিক্ত নয়নে গেয়ে উঠেছিলেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। আমরা সেই সংগীতের উত্তরাধিকার।’
সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আজকে যারা শিশু, `আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদেরকে আমাদের দেশ সম্পর্কে, এই ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা মানে বাংলাদেশকে জানা, বাংলাদেশকে জানলেই বঙ্গবন্ধুকে চেনা যাবে আর বঙ্গবন্ধুকে চেনা মানে বাংলাদেশকে চেনা।`
[272297]
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার অতিরিক্ত সচিব প্রভাষ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সচিব শাহনাজ বেগম নীনা, ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ এম পারভেজ রহিম এবং জয়ীতা ফাউন্ডেশন ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়।
এআরএস