গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞ দল।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ইইউর বিশেষজ্ঞ দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে ভোটের হার নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বলে ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।
একই বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) পক্ষ থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে। আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরাও ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
[272634]
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, ইইউর ‘টেকনিক্যাল’ দল এবং আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা গতকাল বৈঠক করেছেন। তাঁরা মূলত নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত জানতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে তাঁরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল পাঁচটার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে বলেন, ২৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। পাশ থেকে তাঁকে একজন বলেন, এই হার ৪০ শতাংশ। তখন সিইসি বলেন, ‘৪০ পার্সেন্ট। তারপরও এটা ড্যাশবোর্ডে শতভাগ তথ্য আসেনি।’
নির্বাচনের পরেরদিন ইসি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে ভোটের এই হার নিয়ে সন্দেহ ও প্রশ্ন আছে।
[272634]
ইসি সূত্র জানায়, ইইউর বিশেষজ্ঞ দল এবং এনডিআই, আইআরআই মূলত ভোটের হার নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিষয়টি জানতে চেয়েছে। তাদের ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, সব ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর ভোট পড়ার হার জানাতে। ইসির বিশেষ সফটওয়্যারে এ–সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সব কর্মকর্তা এই কাজ যথাযথভাবে করতে পারেননি। তিন পার্বত্য জেলার সংসদীয় আসন এবং এর বাইরে আরও কিছু আসনের বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রের ভোট পড়ার হার কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি বা দেননি। এ–সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত ইইউ, এনডিআই, আইআরআইয়ের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।
এআরএস