প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রবাসীরা বন্ধু হিসেবে দেশের পাশে থাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

আমরা এখন ভিক্ষুকের জাতি নয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভুমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীরা সব সময় বন্ধু হিসেবে দেশের পাশে থেকেছেন। অভিবাসী কমীর্দের প্রেরিত অর্থের উপর প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়ানোর বিষয়ে সরকার আন্তরিক। প্রবাসীদের যাতায়াতে বিমানবন্দরে সদাচরণ ও নিরাপত্তা প্রদানসহ তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা উচিৎ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সাথে খুব দ্রুত আলোচনায় বসবো। 

রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার তেজগাওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৩ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে পুরস্কার প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি এসব কথা বলেন। 

সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় সরকারি বাঙলা কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন ও প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

সভাপতির বক্তব্যে ডেমোক্রেসি‍‍`র চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কর্মক্ষম ২৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় অভিবাসনের মাধ্যমে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান না হলে বাংলাদেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়ে যেতো।  আমরা এখনো পর্যন্ত অভিবাসী কমীর্দের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে পারিনি। অভিযোগ রয়েছে বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো থেকে তারা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। বর্তমানে প্রদত্ত রেমিটেন্সের উপর প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা জরুরী। যারা স্বল্প আয়ের অভিবাসী কমীর্ তাদের জন্য রেমিটেন্সের উপর প্রণোদনা ১০ শতাংশ করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন,  মাননীয় মন্ত্রী অভিবাসী কমীর্দের জন্য সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতো অভিবাসী কমীর্দের জন্য স্বল্পমূল্যে জমি, প্লট, ফ্ল্যাট বরাদ্দের উদ্যোগ নেবেন। বিদেশে গমনকালীন এবং দেশে আসার সময় অভিবাসী কমীর্রা যাতে বিমানবন্দরে হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শুভময় দত্ত, সিমস্ প্রজেক্ট- হেলভেটাস বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক মো: আবুল বাসার ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পরিচালক অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে ট্রফি ও সনদপত্রসহ যথাক্রমে নগদ ১ লক্ষ ও ৭৫ হাজার ও শ্রেষ্ঠবক্তাকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আরএস