আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া অমর একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো উগ্রবাদী হামলার হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতার অতীত ঘটনা রয়েছে। তারপরও এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
হাবিবুর রহমান বলেন, এবারের বইমেলায় প্রতিবারের মতো পুলিশি পাহারা থাকবে। গেটে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যক্তি ও তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে। আমাদের বিভিন্ন ধরনের ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল পেট্রোলিং, সাইবার পেট্রোলিং ও গ্রুপ পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া যেকোনো ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় ডিএমপির ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কাজগুলো ছাড়াও আরও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার থাকবে, অনেক সময় শিশুরা হারিয়ে যায় তাদের জন্য লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার থাকবে। একটি ব্লাড ব্যাংক থাকবে। সেখান থেকে প্রয়োজন হলে জরুরি রক্ত সংগ্রহ করা যাবে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। সবমিলে একটি নিরাপদ ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছর বিতর্কিত বই মেলায় আসে। পরে সেগুলো বাতিল করা হয়। এবার এমন কোন বই মেলায় এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যদি এমন কোনো লেখা বা বিষয় পাঠকের নজরে আসে বা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এবং সেটি নিয়ে যদি কোনো সমালোচনা হয় তখন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে সেই ধরনের প্রস্তুতিও আছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। বাঙালির প্রাণের বইমেলার মাস। এই বইমেলায় সারা বাংলাদেশের মানুষ আসে। একটি অসাম্প্রায়িক সাংস্কৃতিক মিলনের জন্য ভাষার মিলনের জন্য। এই বইমেলা বাঙালির একটি বড় ঐতিহ্য। এই মেলায় শুধু দেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকে অনেকে আসেন। বইমেলা অসাম্প্রদায়িক আয়োজন। বইমেলার এই আয়োজনকে নিয়ে আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।
এইচআর