মাদারীপুর জেলা পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

মাদারীপুর প্রতিনিধি
নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে মাদারীপুর জেলা পরিষদের ৫ নম্বর (রাজৈর) ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

গত বছরের ১৬ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদেশ দিলেও অজ্ঞাত কারণে কমিশন এখনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যে কারণে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একমাত্র ৫ নম্বর (রাজৈর) ওয়ার্ড ব্যতীত সবগুলো ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী একজন প্রার্থীর মামলার কারণে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন অনেকটা ঝুলে যায়। মামলাটি শেষ পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকে। গত বছরের ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হওয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জানা যায়, গত বছরের শুরুতে মাদারীপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর ৫ নম্বর (রাজৈর) ওয়ার্ডে মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন ও নাজমুল হোসেন বাসু এ তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে সরকারি খাদ্য দপ্তরের আওতাধীন ডিলারশিপ চলমান থাকায় মো. আনোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।

পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল আবেদন করেন। বিভাগীয় কমিশনারে শুনানির পর তার আপিল খারিজ হয়ে যায়। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আনোয়ার হোসেন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করেন।

এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মো. আনোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু এই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে অন্য প্রার্থী মো. সিদ্দিকুর রহমান ওই প্রার্থিতা বৈধতার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন।

২০২৩ সালের ১৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ চৌধুরি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসাইনের যৌথ বেঞ্চ আনোয়ার হোসেনের প্রার্থিতা বহাল সংক্রান্ত রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিসের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দেন।

এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নির্বাচন কমিশন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

মাদারীপুর জেলা পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড রাজৈর উপজেলার সদস্য পদ প্রতিদ্বন্দ্বিপ্রার্থী মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ থেকে নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।

ইএইচ