ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শুক্রবার দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগী এবং পরবর্তীতে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এমন মন্তব্য করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি করা হয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএমডিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশস্ত না। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার উপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি সাড়া প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এতো হতাহত হয়েছে।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রেরিত ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার বলেন, এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে প্রেরণ করেছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় চলছে।
এর আগে ডিএসসিসি মেয়র বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগী এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমবেদনা জানান। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. এনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মজুমদার/ইএইচ