বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে পিলখানায় আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তাঁদের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ মার্চ) বিজিবি’র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিজিবিকে স্মার্ট ও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।’
তিনি এ বাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে চলার আহ্বান জানান।
২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ জন অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারায়।’
তিনি ওই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না।’
বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এছাড়া তিনি বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক পরিয়ে দেন ৭২ বিজিবি সদস্যকে।
বিআরইউ